কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় বিকাশে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটের প্রসারের কারণে অনলাইন গেম খেলে টাকা আয় করা খুবই সহজ এবং লাভজনক হয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন জনপ্রিয় গেম খেলে খেলোয়াড়রা বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এখানে আমরা কয়েকটি জনপ্রিয় গেম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।
কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় বিকাশে
১. ফ্রি ফায়ার (Free Fire)
ফ্রি ফায়ার একটি জনপ্রিয় ব্যাটেল রয়্যাল গেম যেখানে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হয়। অন্যদের পরাজিত করতে হয়। ফ্রি ফায়ারের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ অনেক।
- টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ: নিয়মিত ফ্রি ফায়ার টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলে নগদ পুরস্কার পাওয়া যায়, যা সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করা সম্ভব।
- স্ট্রিমিং: ফ্রি ফায়ার গেমপ্লে স্ট্রিমিং করলে ইউটিউব বা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন এবং ডোনেশন থেকে টাকা আয় করা যায়।
২. পাবজি মোবাইল (PUBG Mobile)
পাবজি মোবাইল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমগুলির মধ্যে একটি। পাবজির মাধ্যমে আপনি কিভাবে টাকা আয় করতে পারেন:
- টুর্নামেন্ট জিতে: পাবজি টুর্নামেন্টে বিজয়ীরা বড় অংকের নগদ পুরস্কার পান, যা বিকাশে উত্তোলন করা যায়।
- ইউটিউব এবং ফেসবুকে স্ট্রিমিং: পাবজি গেমপ্লে স্ট্রিম করে বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশিপ এবং ডোনেশন থেকে টাকা আয় করা সম্ভব।
৩. ড্রিম ইলেভেন (Dream11)
ড্রিম ইলেভেন মূলত ফ্যান্টাসি ক্রিকেট গেম, যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের দল তৈরি করেন এবং বাস্তব ম্যাচের ভিত্তিতে পয়েন্ট অর্জন করেন। এর মাধ্যমে আয়ের উপায়:
- ফ্যান্টাসি লীগ জয়: ড্রিম ইলেভেনে ভালো দল তৈরি করে ফ্যান্টাসি লীগের প্রতিযোগিতা জিতলে বড় অংকের পুরস্কার পাওয়া যায়, যা বিকাশে উত্তোলন করা সম্ভব।
- অ্যাপ রেফারেল: ড্রিম ইলেভেন অ্যাপে বন্ধুদের রেফার করলে আপনি রেফারেল বোনাসও পেতে পারেন।
৪. রামি (Rummy)
রামি হলো একটি জনপ্রিয় কার্ড গেম, যা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে খেলে টাকা আয় করা যায়। রামির মাধ্যমে আয়ের কিছু পদ্ধতি:
- অনলাইন প্রতিযোগিতা: বিভিন্ন রামি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আপনি নগদ অর্থ জিততে পারেন। এই অর্থ সরাসরি বিকাশে উত্তোলন করা যায়।
- অ্যাপ গেমস: রামি খেলে অ্যাপের মাধ্যমে ইন-গেম পুরস্কার ও নগদ পুরস্কার জিতে টাকা আয় করা যায়। কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় বিকাশে
৫. লুডো কিং (Ludo King)
লুডো কিং হলো একটি কৌশলভিত্তিক অনলাইন গেম, যা খেলে আপনি আয় করতে পারেন:
- লুডো প্রতিযোগিতা: বিভিন্ন লুডো কিং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে বিজয়ীরা নগদ পুরস্কার পেতে পারেন।
- স্ট্রিমিং এবং স্পন্সরশিপ: লুডো কিং গেম খেলে আপনি স্পন্সরশিপ ও ডোনেশন থেকে অর্থ আয় করতে পারেন, যা বিকাশে উত্তোলন করা যায়।
৬. পোল প্লে (Pool Play)
পুল গেম খেলোয়াড়দের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে টাকা আয় করার পদ্ধতি:
- অনলাইন পুল টুর্নামেন্ট: পুল প্লে গেমে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে আপনি নগদ অর্থ জিততে পারেন।
- স্ট্রিমিং ও বিজ্ঞাপন: পুল প্লে স্ট্রিমিং করলে বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরশিপ থেকে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
৭. ফ্যান্টাসি স্পোর্টস (Fantasy Sports)
ফ্যান্টাসি স্পোর্টস বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়। এখানে বিভিন্ন ধরণের স্পোর্টস যেমন, ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলায় অংশ নিয়ে আপনি টাকা আয় করতে পারেন:
Also Read
- দল নির্বাচন এবং প্রতিযোগিতা: ফ্যান্টাসি স্পোর্টসে সফল দল তৈরি করলে প্রতিযোগিতায় জয়লাভের মাধ্যমে নগদ অর্থ জেতা যায়।
- ইন-গেম বোনাস: ফ্যান্টাসি স্পোর্টস খেলে ইন-গেম বোনাস ও পুরস্কার পাওয়া সম্ভব।
৮. মাইনক্রাফট (Minecraft)
মাইনক্রাফট হলো একটি ক্রিয়েটিভ বিল্ডিং গেম যা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে খেলে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন:
- ইউটিউব এবং ফেসবুকে স্ট্রিমিং: মাইনক্রাফট গেমপ্লে স্ট্রিমিং করলে বিজ্ঞাপন এবং ডোনেশনের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।
- ক্রিয়েটিভ বিল্ডিং প্রতিযোগিতা: মাইনক্রাফটের বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে আপনি অর্থ জিততে পারেন।
৯. টিকটক গেমস (TikTok Games)
টিকটক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন অনলাইন গেম খেলে আপনি টাকা আয় করতে পারেন:
- লাইভ গেম স্ট্রিমিং: টিকটক লাইভ স্ট্রিমিং এবং প্রতিযোগিতা থেকে ডোনেশন ও স্পন্সরশিপের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।
- গেম রিভিউ এবং কনটেন্ট তৈরি: টিকটকে গেম রিভিউ বা টিপস ভিডিও তৈরি করে আপনি ফলোয়ারদের থেকে ডোনেশন এবং বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ পেতে পারেন।
১০. স্পিনিং গেমস (Spinning Games)
স্পিনিং গেমস হল সহজেই খেলে পুরস্কার জেতার একটি মাধ্যম। এখানে কিছু জনপ্রিয় স্পিনিং গেমের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন:
- কৌশল এবং দক্ষতা: স্পিনিং গেমগুলোর মাধ্যমে জেতা পুরস্কার বিকাশে উত্তোলন করা সম্ভব। তবে এই গেমগুলোতে বেশি কৌশল ও দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, তাই নতুন খেলোয়াড়েরাও সহজে শুরু করতে পারেন।
১১. গেমিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইন গেমিং থেকে টাকা আয়ের আরেকটি বড় উপায় হলো গেমিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে কীভাবে আয় করা যায়:
- অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার: বিভিন্ন গেমিং প্রোডাক্ট বা সেবা ব্যবহার করে আপনি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন এবং বিক্রয় থেকে কমিশন আয় করতে পারেন।
- রেফারেল প্রোগ্রাম: অনেক গেম কোম্পানি রেফারেল প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যার মাধ্যমে আপনি গেমিং অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্মের জন্য নতুন ব্যবহারকারী নিয়ে এসে কমিশন পেতে পারেন।
অনলাইন গেমিং বর্তমানে বাংলাদেশে আয়ের একটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সহজলভ্যতা এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে। আপনি যদি সঠিক কৌশল ব্যবহার করেন এবং দক্ষতা অর্জন করেন, তবে অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে নিয়মিত আয় করতে পারবেন।